ময়দানে নয়, সীমিত আকারে মসজিদে ঈদের জামাত হবে

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কারণে কক্সবাজার জেলার কোথাও ঈদের জামাত খোলা মাঠে হবে না। সীমিত আকারে মসজিদেই হবে ঈদের নামাজ। আবার মসজিদের একাধিক জামাত করা যাবে। তবে মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। তবে মুসল্লীরা বাড়ি থেকে জায়-নামাজ নিয়ে আসতে পারবে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা জানান, চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির কারনে ঈদের নামাজ আগের মত ঈদগাহ মাঠে অনুষ্টিত হবে না। এটা ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সিন্ধান্ত সে হিসেবে স্থানীয় ভাবে আমরাও জেলা প্রশাসন থেকে সেই সিন্ধান্তের বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। তাই সীমিত আকারে মসজিদেই ঈদের নামাজ অনুষ্টিত হবে।

কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির জানান, ২১ মে ২৭ রমজান সে হিসাবে ২৪ অথবা ২৫ মে ঈদুল ফিতর অনুষ্টিত হতে পারে। আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল তৈরি করা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থা পৌর পরিষদ করতো কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারনে ঈদ মাঠে জামাত হবে না। শুধু মাত্র মসজিদের ভেতরে সীমিত আকারেই হবে ঈদের জামাত।

এদিকে শুধু জেলা শহর নয় বিভিন্ন উপজেলা শহরেও মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করার বদলে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

২১ মে (বৃহস্পতিবার) ঈদের নামাজের জামাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ‘ডিসি কক্সবাজার’ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।

ওই স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো…
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সংক্রান্ত নির্দেশনাঃ
১. খোলা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজন করা যাবে না। মসজিদের অভ্যন্তরে আয়োজন করতে হবে।

২. মসজিদে ১ ঘন্টা পর পর একাধিক জামাত হবে।

৩. প্রতি জামাতে পৃথক পৃথক ইমাম এবং মুয়াজ্জিন থাকবেন।

৪. প্রত্যেক জামাতের পর মসজিদ স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫. ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে৷

৬. মসজিদে কোন কার্পেট বিছানো যাবে না। মুসল্লীগণ ব্যক্তিগত জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবেন।

নিজেদের স্বার্থে নির্দেশনা মেনে চলি, সুস্থ থাকি। সবাইকে ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানাই